IMG:MEDIUM |
প্রতি দিন কত তরুন যে এই ফাঁদে পা দিচ্ছে।সারা পৃথিবীতে আজ অসংখ্য মানুষ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। এই আসক্তির কারণে অনেক পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসছে। অথচ বেশির ভাগ মানুষই এর ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত নন । আমাদের বর্তমান সমাজ যেখানে শারীরিক সুস্থতা নিয়ে অনেক সচেতনতা সৃষ্টি করছে, সেখানে পর্নোগ্রাফির বিষয়টাতে এমন অসচেতনতা সত্যিই দুঃখজনক।
একজন former portnstar বলেছেন, porn Industry তে বেশিরভাগ মানুষ ভাঙা ঘর থেকে আসা, অর্থাৎ যাদের পিতা মাতার divorced হয়েছে, অনেক মেয়েরা যৌন হয়রানির শিকার ।
Globally ৯৭ বিলিয়ন ডলার পর্ন industry, যার ১৪ বিলিয়ন ডলার আসে USA থেকে। পর্ন Industry এর ২০১৪ সালের Revenue , Facebook, Amazon, Disney, McDonald's, Google, Microsoft এই সব একেকটি Company এর থেকে বেশি।
আপনি কি জানেন? সকল Online traffic এর মধ্যে ৩০% পর্ন। সকল search engine এ ২৫% অনুরোধ আসে পর্ন রিলেটেড। Online এ সকল Paid Content এর ভিতর ৬৯% পর্ন Content. ১০ - ১৫ বছরের teenager দের দ্বারা Most searched keyword, porn.
এটা দ্বারা বোঝায় খুব কম বয়স থেকে teenager রা কোনা বাধা ছাড়ায় পর্ন Access করতে পারে।
এটি আপনাকে বিস্মিত করে দিবে, যারা Porn addicted তারা কিভাবে দেখবে একজন নারীকে? এটা জেনে। আপনি কি আপনার স্নেহের মেয়ে কে এইরকম লোকের সাথে বিয়ে দিতে চাইবেন? এটা কেউ চাইবে না, আমি মনে করি।
২০০৭ সালে, University of Alberta তে একটি জরিপ করা হয়েছিল, ১৩ - ১৪ বছর বয়সী ৪২৯ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের ৯০% ছেলে এবং ৭০ % মেয়ে, online এ sexual content দেখে। তাদের মধ্যে, ৩৫% ছেলে বলেছে তারা কত বার দেখেছে, তার কোন হিসাব নাই।
২০০৯ সালে Michael Leahy, ২৯০০ জন North American University এর শিক্ষার্থীদের একটি জরিপ প্রকাশ করেছিল , তিনি পেয়েছিলেন ৬৪% শিক্ষার্থী প্রতি সপ্তাহে sexual content দেখার জন্য Internet এ সময় ব্যয় করে।
Whoever controls the media, controls the mind. (Jim Morrison)
We become what we think about all day long. (Ralph Waldo Emerson)
যখন আপনি পর্ন দেখবেন, আপনার ব্রেন চিন্তা করবে, you are having sex. আপনার ব্রেন বুঝতে পারে না, Real sex এবং পর্ন ভিডিও দেখার মধ্যে পার্থক্য।
যেমন, কোন ভূতের Movie দেখলে, আমরা অনেক সময় ভয় পেয়ে চমকে উঠি, আর Sad movie দেখলে, আমরা কান্না করি, আমাদের মনকে বিষন্ন করে দেয়।
আপনি যেটা video তে দেখছেন, আপনার ব্রেন চিন্তা করে, এটি আপনার real লাইফে ঘটতেছে। আপনি যদি এরকম বহু পর্ন scene দেখতে থাকেন, আপনার ব্রেন ভাবে, আপনি অনেক পার্টনার এর সাথে sex করতেছেন।
ডোপামিন, নামে একটি হরমোন আছে ব্রেনে, যেটি আপনাকে প্ররোচিত করে কোনকিছু করতে, যা আপনাকে ভাল অনুভব করায়, যেমনঃ Having sex or Eating food.
যদি দেখেন, আপনার পাশ দিয়ে একটি মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে, যাকে আপনার সুন্দরী বলে মনে হয়। তখন আপনার ভিতর excitement and nervousness কাজ করে, এটা ডোপামিনের কারনে।
যখন আপনি পর্ন দেখেন, এটা আপনাকে masturbate করতে উৎসাহিত করে, কারন তখন আপনার ব্রেন আরো বেশি ডোপামিন produce করতে চায়।
কোকেইন, আর হিরোইন গ্রহণ করলে ও, ব্রেনে তৎক্ষনাৎ ডোপামিন ক্ষরণ শুরু হয়, কিন্তু পর্ন, কোকেইন ও হিরোইন এর চেয়ে ধ্বংসাত্মক। মনস্তাত্ত্বিকবিদরা পেয়েছেন, তিনটা condition এ একজন মানুষ addicted ওঠে।
প্রবেশযোগ্যতা
ক্রয়ক্ষমতা
নামহীনতা
অর্থব্যয় একটা বিরাট বাধা হয়ে দাড়ায়, alcohol ও drug addicted যারা তাদের ক্ষেত্রে। কিন্তু পর্নের ক্ষেত্রে এমন কোন বাধা নেয়। উপরের ৩ টি condition ই পর্নের ক্ষেত্রে সহজেই মিলে।
প্রথমত, যে কেউ সেকেন্ড এর ভিতর online এ পর্ন দেখতে পারে। (প্রবেশযোগ্যতা)। দ্বিতীয়ত, এটা ফ্রিতে পাওয়া যায়।( ক্রয়ক্ষমতা)। তৃতীয়ত, আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটারে থাকলে, কেউ কখনো জানবে না।( নামহীনতা)
জেনে রাখবেন, এই কারনের জন্য পর্ন অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক। যদি এমন কখনো হয়, সকল ধরনের alcohol ফ্রি, কেউ যত পরিমান পান করুক তার কোন টাকা লাগবে না,মানুষের অবস্থা কি হবে কল্পনা করতে পারেন?
কিন্তু এখনকার পৃথিবীতে ব্যপারটা পর্নের ক্ষেত্রে সঠিক, এটাতে কোনো age limit নাই, এটাতে কোন টাকা লাগে না, আপনি দেখলে কেউ কখনো এটা জানতে পারবে না।
আপনাকে যেটা control করছে, সেটা যদি আপনি ত্যাগ করতে না পারেন, you have become less human.
ক্ষতিকর প্রভাবঃ
শারীরিক :
মানব দেহের ওপর পর্নোগ্রাফির অসংখ্য ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে; এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে—স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্কে অক্ষমতা দেখা দেয়।
অথচ তিরিশ বছর আগেও ৩৫ বছরের কম বয়সী পুরুষদের মাঝে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন (erectile dysfunction) এর কথা শোনাই যেত না; এই সমস্যা হত শুধুমাত্র বার্ধক্যের কারণে।
কিন্তু বর্তমান সময়ে পর্নোগ্রাফি সহজলভ্য হওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে যে, ১৬ বছরের অনেক যুবকেরাও আজ ইরেক্টাল ডিসফাংশনের শিকার।ঘন ঘন পর্ন দেখার ফলে মস্তিষ্কের গঠন এমন হয়ে যায় যে, যৌন চাহিদা পর্নের ওপর নির্ভরশীল হতে থাকে।
ফলে একজন পর্ন আসক্ত ব্যক্তি অনেক সময় নিজের স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে উত্তেজনা অনুভব করে না ।আসক্তি বাড়ার সাথে সাথে অন্য আসক্তিকর বস্তুর মতোই আগে দেখা পর্নগুলো তাকে উত্তেজিত করতে পারে না।
কারণ তার ব্রেইনের ডোপামিন রিসেপ্টরগুলো (dopamine receptors) নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে থাকে। এমন অবস্থায় একজন পর্ন ইউজার আগের উত্তেজনা ফিরে পেতে আরও এক্সট্রিম পর্নের দিকে ঝুঁকতে থাকে।
আসলে নীল পর্দায় যৌনতার স্বাদ উপভোগ করা পর্ন আসক্ত মানুষগুলো স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলতে থাকে। ভার্চুয়াল সেক্স বাস্তব জীবনে সেক্স এর ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এটা কীভাবে স্বাভাবিক হতে পারে একটু ভাবুন।
মানসিক :
বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও একাকিত্ব বর্তমান বিশ্বে আমাদের প্রধান মানসিক সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আপনি কি জানেন, পর্নোগ্রাফি এ সকল সমস্যার একটি অন্যতম কারণ?
পর্ন দর্শকরা স্বাভাবিকভাবেই চায় তাদের এই আসক্তি গোপন রাখতে। যার ফলে অনিবার্যভাবে তাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারা ভুগেন নিঃসঙ্গতায়। অন্যান্য অনেক মানসিক সমস্যার পথও খুলে যায় তাদের জন্য।
এ ছাড়াও রিসার্চ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পর্ন ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিজের দেহ নিয়ে হীনম্মন্যতা এবং আত্মসম্মানবোধের অভাব দেখা যায়।
সম্পর্ক
মানুষ সামাজিক জীব। তাদেরকে যৌন চাহিদা দিয়েই সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু পর্নোগ্রাফির কৃত্রিম যৌনতার মাঝে সেই চাহিদা পূর্ণতা পায় না।
সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, পর্নোগ্রাফির যৌন বিনোদন শুধুই কৃত্রিম না; বরং তা দম্পত্য জীবনের যৌন সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
রিসার্চে এসেছে কেউ মাত্র একবার পর্নোগ্রাফি দেখলেও তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা কমে যেতে পারে। এমনকি স্ত্রীকে আগের মত আর আকর্ষণীয় মনে হবে না।
রিসার্চের মাধ্যমে আমরা আরো জানতে পারি যে, আমেরিকায় শতকরা ৫৬টি ডিভোর্সের একটি অন্যতম কারণ পর্নোগ্রাফি আসক্তি।
পর্নোগ্রাফি যৌন সম্পর্ককে ভালোবাসা ও সম্পর্কের বন্ধন থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করে, তা শুধুমাত্র বিকৃত যৌনাচারের সন্ধান দেয়; যা আমাদের বাস্তব জীবন থেকে ভিন্ন।
জীববিজ্ঞানী গ্যারি উইলসন বলেছেন: “পর্নোগ্রাফি আমাদেরকে যৌন শিক্ষা দেয় না বরং আমাদের যৌন জীবনকে পর্নোগ্রাফি দ্বারা প্রতিস্থাপন করে”।
এককথায়, পর্ন ভালোবাসার মৃত্যু ঘটায়। পর্নোগ্রাফি কোনভাবেই স্বাস্থকর না। এটি পুরুষদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে, মানসিকতা স্বাস্থকে বিপর্যস্ত করে এবং দাম্পত্য সম্পর্কে ভাঙ্গন ঘটায়।
বর্তমান সময়ে পর্নোগ্রাফি আপামর জনসাধারণের জন্য গুরুতর স্বাস্থ ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে।
IMG : MEDIUM |
সমাধান
সচেতনতাই প্রথম ধাপ, পর্ন আসক্তি দূর করার জন্য এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। এর কুফলগুলো যদি ঠিকমত উপলব্ধি করেন, তাহলে সহজাতভাবেই এর প্রতি আপনার চিন্তাধারায় একটি পরিবর্তন সূচিত হবে।
আপনাকে উপলব্ধি করতে হবে, পর্ন আসক্তি একটি মনোসামজিক ব্যধি। এর শারীরীক ও মানসিক কুফল অনেক। স্নায়ুকে ক্রমাগত উত্তেজিত করার মাধ্যমে এটি আপনার রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্থ করার পাশপাশি হরমোনাল ডিজঅর্ডার ঘটায়।
এর জন্য আপনাকে মাত্রাতিরিক্ত মাস্টারবেশন করতে হয়, যা পরবর্তীতে আপনার ব্যাপক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সেই সাথে নৈতিক অবক্ষয় ও মানসিক ভারসাম্যহীনতার বিষয়টাকেও মাথায় রাখুন। আপনার স্বাভাবিক জীবন ও সামাজিক সম্পর্ক সুরক্ষার তাগিদে তাই এর বিরুদ্ধে সচেতন হোন এখনই।
পর্নগ্রাফিক উপাদান গুলো সরিয়ে ফেলুন: সেক্সুয়াল যেসব কন্টেন্ট আপনার পিসির হার্ড ড্রাইভ বা ফোনে সংরক্ষিত আছে তা মুছে ফেলুন দৃড়চিত্তে। নইলে হাতের কাছে থাকা সহজলভ্য উপাদানের আকর্ষণে আবারও আপনি সেই জগতে ফিরে যেতে পারেন।
ধর্মীয় মূল্যবোধ গড়ে তুলুন : আপনি যে ধর্মেরই অনুসারী হোন না কেন, তার মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা আপনাকে পর্ন আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে অবশ্যই সহায়তা করবে। নামাজ বা প্রার্থণা আপনাকে দেবে আত্নিক পরিশুদ্ধি।
এছাড়া ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে পারেন নিজের জীবনকে আরো সুসংহত করার তাগিদে। ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের উপদেশ এবং জীবনী থেকেও শিখতে পারবেন, কী করে পাপাসক্তি থেকে প্রত্যাবর্তন করে নির্মল জীবন শুরু করা যায়।
প্রয়োজনে মানসিক চিকিত্সা নিন: আমরা সহসা মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের শরনাপন্ন হতে চাইনা। অথচ পর্ন আসক্তির মত মনোসামাজিক বিপর্যয়ের জন্য মানসিক রোগের ডাক্তাররা আপনাকে দিতে পারেন, সঠিক দিক নির্দেশনা।
মনে রাখবেন, রাতারাতি এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই চিকিত্সকের কাছে কাউন্সেলিং নিন। তার পরামর্শ মাফিক জীবন পরিচালনা করতে থাকুন। আশা করা যায়, ধীরে ধীরে আপনি এই কুঅভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
কমিয়ে দিন নেট ব্রাউজিং: উইকিপিডিয়ার মতে, 'পর্নোগ্রাফি যৌন আবেগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যৌনসংক্রান্ত বিষয়বস্তুর প্রতিকৃতি অঙ্কন বা পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা'। বিগত কয়েক দশকে পর্নোগ্রাফি উত্পাদন তথা ভোগ্যপণ্য হিসেবে ভোগকে কেন্দ্র করে একটি বিরাট শিল্প গড়ে উঠেছে।
বর্তমানে ইন্টারনেট এর প্রধান উত্সস্থল হিসেবে বিবেচিত। তাই ইন্টারনেটে বেশি সময় কাটানো কমিয়ে দিন। প্রয়োজনীয় কাজ সেরে দ্রুত বেরিয়ে আসুন বাস্তব জগতে। সামাজিক মেলামেশা ও কর্ম তত্পরতা বৃদ্ধি করুন। ভার্চুয়াল জগতে সময় অপচয় রোধ করা গেলে পর্ণ অ্যাডিকশন কমানো সম্ভব হবে অনেকাংশে।
মেতে উঠুন নতুন শখে: যেহেতু পর্ন দেখা ছাড়তে চাচ্ছেন, তাই ঘরে একা একা কম্পিউটার/ল্যাপটপ/ট্যাব বা মোবাইলে সময় কাটানোর চেয়ে মন কে অন্য দিকে ডাইভার্ট করার জন্য নতুন এক বা একাধিক হবি তৈরি করুন। তারপর সেই হবি নিয়ে মেতে উঠুন।
যখনই পর্ণ দেখতে মন চাইবে, সাথে সাথে উঠে পড়ুন এবং সেই হবি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। এটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। প্রথম দিকে অনেক কঠিন লাগলেও ধীরে ধীরে সহজ হয়ে আসবে।
হবি হতে পারে বডিবিল্ডিং এর জন্য জীমে জয়েন করা, গিটার, কবিতা আবৃত্তি কিংবা গান শেখা, ফটোগ্রাফি কিংবা পেইন্টিং, বই পড়া, গাড়ি চালানো শেখা, খেলাধুলা কিংবা সাঁতার শেখা কিংবা নতুন বন্ধু তৈরি করা। মোট কথা, নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
গড়ে তুলুন পারিবারিক পরিসর: পরিবারকে সময় দিন। নির্জনতা ও একাকীত্ব থেকে বেরিয়ে আসুন। পিসি বা ল্যাপটপ রুমের এমন একটা পজিশনে রেখে ইউজ করুন, যেন সেটা রুমে ঢুকলে সবার দৃষ্টিগোচর হয়।
সেইসাথে পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়া কিংবা পিকনিক করাও হতে পারে ভালো অল্টারনেটিভ। কাজের দিনগুলোর ফাঁকে এই সুন্দর উদ্যোগগুলো আমাদের পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করার পাশাপাশি সরবরাহ করবে পজেটিভ এনার্জি।
বদলে ফেলুন সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি: পর্ন বলতে যে প্রচন্ড আকর্ষণীয় ও রগরগে যৌনতার প্রদর্শণী আপনার সামনে ভেসে ওঠে, তা সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্য এক বিশাল হুমকি। এখানে নারী সত্ত্বার যে ভয়াবহ অবমাননা করা হয়, তার বিরুদ্ধে আপনার চিন্তা-চেতনাকে জাগ্রত করুন।
শিশু বা পশুদের ক্ষেত্রে যা করা হয়, তা অসভ্যতা ও বর্বরতার চরম নিদর্শণ। সুতরাং, পর্নকে বিনোদন বা আনন্দায়ক হিসেবে দেখার ট্রেন্ডটাই বদলে ফেলুন।
একে সমাজ-পরিবার ও স্বাভাবিক যৌন জীবনের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করুন এবং সেই অনুপাতে নিজের ভেতরে লড়াই করার মানসিকতা গড়ে তুলুন।
Thanks for reading: পর্নোগ্রাফি দেখার আসক্তি ছাড়াব কিভাবে? | How to get rid of the addiction to pornography? , Sorry, my English is bad:)